অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজশাহী বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ৬৩১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে।
মঙ্গলবার রাতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টু।
মামলায় বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-২ আসনের সাবেক এমপি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবালকেও আসামি করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, মামলায় আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ২৩১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০০ জনকে। এসআই সোহেল রানাকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ আসামিরা নগরীর মালোপাড়ায় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় কার্যালয়টিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়াও হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং হত্যার উদেশ্যে গুলিবর্ষণ করে। পরে তারা মামলার বাদীসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মাদ আলী কামাল, সহসভাপতি নাঈমুল হুদা রানা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বড় মেয়ে আনিকা ফারিয়া জামান অর্ণা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মরিরুজ্জামান খান মনি, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন বাচ্চু।
এছাড়া মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহনগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর ইসলাম সিয়াম, সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, পবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলুকে কে আসামি করা হয়েছে।
এ মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রজব আলী, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা মতিউর রহমান মতি, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানে আলম জনি, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম বাবু, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন সাহু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম পচা, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমান, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযামুল আযীম, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান হোসেন ও ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিকে।
Leave a Reply